মেরি বারা

মেরি বারা বর্তমানে জেনারেল মোটরসের সিইও ও চেয়ারপারসনের দায়িত্বে আছেন—যা বিশ্বের বৃহত্তম অটোমোটিভ কোম্পানিগুলোর একটি। ২০১৪ সালে তিনিই প্রথম নারী নেতৃত্ব হিসেবে কোনো বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। গত এক দশকে তিনি জেনারেল মোটরসকে প্রযুক্তিনির্ভর একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন, যেখানে ইলেকট্রিক গাড়ি ও স্বয়ংক্রিয় যানবাহনের প্রযুক্তি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তার নেতৃত্বে কোম্পানিটি উদ্ভাবনী খাতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ইলেকট্রিক গাড়িতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জুলি সুইট

২০১৯ সাল থেকে এক্সেঞ্চারের সিইও পদে রয়েছেন জুলি সুইট। এই গ্লোবাল কনসালটিং ও আইটি জায়ান্ট তার নেতৃত্বে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ক্লাউড প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে, যেটির বার্ষিক আয় $৬০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ক্লায়েন্ট ট্রান্সফরমেশনের জন্য উদ্ভাবনী কৌশলের প্রবক্তা হিসেবে তিনি ব্যবসায়িক অন্তর্ভুক্তি ও কর্পোরেট সমতা নিয়ে সরব কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত।

জেন ফ্রেজার

জেন ফ্রেজার ২০২১ সালে সিটিগ্রুপের সিইও হিসেবে নিযুক্ত হন, ওয়াল স্ট্রিটের ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী হিসেবে এত বৃহৎ একটি ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্ব পান। তার নিয়োগ ছিল এক ঐতিহাসিক মাইলফলক—যা দীর্ঘদিন ধরে পুরুষ-প্রভাবিত খাত ছিল। সিটিগ্রুপে ফ্রেজার বিস্তৃত রূপান্তর পরিকল্পনা চালু করেছেন—যার মধ্যে রয়েছে অলাভজনক খাত থেকে বেরিয়ে আসা, বৈশ্বিক কার্যক্রম পুনর্গঠন এবং টেকসই ও ডিজিটাল সমাধানকে অগ্রাধিকার দেয়াই এই কৌশলের মূল স্তম্ভ।

লিসা সু

লিসা সু ২০১৪ সাল থেকে এএমডি-এর সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং চিপসেট ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে অন্যতম নাটকীয় পুনরুদ্ধার ঘটিয়েছেন। তার নেতৃত্বে এএমডি সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে একটি হাই-পারফরম্যান্স সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যা আজ ইন্টেল ও এনভিডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী। রাইজেন ও EPYC আর্কিটেকচারে সু’র কৌশলগত জোরই এএমডির মার্কেট শেয়ার ও ভ্যালুয়েশন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

আনা বোটিন

আনা বোটিন ২০১৪ সাল থেকে ব্যাংকো স্যানটান্ডারের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্পেনের বৃহত্তম ফিনান্সিয়াল গ্রুপের নেতৃত্ব তার বাবার মৃত্যুর পর পান, এবং দ্রুতই নিজেকে কৌশলী নেতৃত্বের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে প্রমাণ করেন। তার অধীনে প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল রূপান্তর জোরদার করেছে, লাতিন আমেরিকায় প্রভাব বিস্তার করেছে এবং টেকসই অর্থায়নে জোর দিয়েছে। বোটিন অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্ব এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের একজন জোরালো প্রবক্তা।