মীনাক্ষী অম্মান মন্দির
ভারতের অন্যতম অনন্য ও নজরকাড়া স্থাপনা হলো মীনাক্ষী অম্মান মন্দির। এটি দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মাদুরাই শহরে অবস্থিত—যেটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ও নিরবচ্ছিন্নভাবে বসবাসযোগ্য শহরগুলোর একটি, যার ইতিহাস দুই হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। এই মন্দির প্রাঙ্গণ ঘিরে আছে গোপুরম নামে পরিচিত অদ্ভুত আকৃতির টাওয়ার। সবচেয়ে উঁচু গোপুরমটি দক্ষিণ দিকে অবস্থিত—যা ১৫৫৯ সালে নির্মিত, আর পূর্ব দিকের গেটটি ১২১৬ সালে তৈরি, যা সবচেয়ে পুরনো বলে ধরা হয়। মীনাক্ষী মন্দিরে প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক পাড়ি দেন।
দ্য ব্লু সিটি (যোধপুর)
রাজস্থানের থার মরুভূমি পেরিয়ে বহু পর্যটক এক রঙিন শহর যোধপুরে পৌঁছান। “এ যেন আকাশ মাটিতে নেমে এসেছে,” পর্যটকদের মুখে প্রায়শই এমন মন্তব্য শোনা যায়। বিশেষজ্ঞরা যোধপুরকে “মরুভূমির নীল রত্ন” বলে থাকেন। এই নীল শহরের পেছনে এক ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা রয়েছে—ভারতের বর্ণব্যবস্থায় ব্রাহ্মণদের বাড়িগুলো সাধারণত নীল রঙে চিহ্নিত করা হতো, যা অন্যদের থেকে তাদের আলাদা করত।
লে প্যালেস
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত লে শহরে দাঁড়িয়ে আছে এক মনোমুগ্ধকর প্রাসাদ—লে প্যালেস। এটি ১৭শ শতকের গোড়ার দিকে লাদাখ রাজ্যের রাজা সেঙ্গে নামগিয়াল নির্মাণ করেন, যা এখন জম্মু-কাশ্মীর নামে পরিচিত। ১৮৩৪ সালে রাজবংশের পতনের পর এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়, তবে পরে পুনরুদ্ধার করা হয়। আজ এটি "লিটল তিব্বত" অঞ্চলের অন্যতম দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। মনে করা হয়, এটি তিব্বতের পোতালা প্যালেসের আদলে তৈরি, যা ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত দালাই লামার বাসভবন ছিল। যদিও আকারে ছোট, তবুও লে প্যালেসের নয়তলা কাঠামো এখনো পর্যটকদের অভিভূত করে। এই প্রাসাদের উপরের তলায় রাজা নামগিয়াল ও তার রাজসভা বসতেন, আর নিচের তলাগুলোতে খাদ্য ভান্ডার, কর্মীদের বাসস্থান ও ঘোড়ার আস্তাবল ছিল।
মেঘালয়ের জীবন্ত গাছের সেতু
ভারতে এখনো এমন কিছু স্থান আছে যেখানে পৌঁছানো দুঃসাধ্য, যেমন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মেঘালয়—যেটিকে ঘিরে আছে ঘন উপক্রান্তীয় অরণ্য। এখানে বসবাসরত স্থানীয় জনগণ প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক অভিনব সমাধান গড়ে তুলেছেন—গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি জীবন্ত সেতু। ঘন বর্ষণের ফলে এখানে নদী পার হওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক, তাই বিশাল গাছের শক্তিশালী শিকড় বাঁকিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সেতু। অতিবৃষ্টির সঙ্গে খাড়া পাহাড় ও ঘন অরণ্য মিলে মেঘালয়ের অধিকাংশ এলাকাকে রীতিমতো অনতিক্রমযোগ্য জঙ্গলে পরিণত করেছে। আর সেই চ্যালেঞ্জের জবাব হিসেবেই সৃষ্টি হয়েছে এই প্রকৃতি-নির্ভর ঝুলন্ত সেতু।
লোটাস মন্দির (দিল্লি)
ভারতকে অনেক সময় বলা হয় “হাজার ধর্মের দেশ”—এখানে স্থান পেয়েছে বহু আধ্যাত্মিক ধারা। তাদের মধ্যেই একটি হলো বাহাই ধর্ম, যা ১৯শ শতকে ইরান থেকে ভারতে আসে। বাহাই সম্প্রদায়ের প্রধান কেন্দ্র হলো দিল্লির লোটাস মন্দির। ১৯৮৬ সালে নির্মিত এই সাদা মার্বেলের মন্দিরের আকৃতি একটি ফুটন্ত পদ্মফুলের মতো। এর অনন্য নকশা ও সবুজ পার্ক অঞ্চল একে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানে পরিণত করেছে—প্রতি বছর প্রায় ৪ মিলিয়ন দর্শনার্থী এখানে আসেন।
লাল কেল্লা (আগ্রা)
আগ্রা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর একটি হলো লাল কেল্লা—যা একটি রাজপ্রাসাদ-দুর্গের সমন্বিত ভবন। ১৬শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সম্রাট আকবর এই কেল্লা নির্মাণের কাজ শুরু করেন, সেসময় তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী আগ্রায় স্থানান্তর করছিলেন। রাজস্থানের লাল বালি-পাথরে নির্মিত হওয়ায় এর রঙ উজ্জ্বল বারগান্ডি লাল। ৪৫০ বছরেরও বেশি সময়ে লাল কেল্লা অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে—বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এখানে অবস্থান করেছেন, সেইসাথে এটি যুদ্ধক্ষেত্র ও সভাকক্ষ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। বর্তমানে এটি ইসলামিক ও হিন্দু স্থাপত্যের মিলনধারার এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
Grand Choice
Contest by
InstaForexInstaForex always strives to help you
fulfill your biggest dreams.প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
চ্যান্সি ডিপোজিটআপনার অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করুন এবং $1000 এর অধিক নিন!
চ্যান্সি ডিপোজিট প্রচারাভিযানে আমরা জুন $1000 লটারি করেছি! একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করে এই অর্থ জেতার একটি সুযোগ নিন! এই শর্ত পূরণ করে, আপনি একজন অংশগ্রহণকারী হতে পারবেন।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্রেড করুন, ডিভাইস জিতুনআপনার অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে $৫০০ টপ আপ করুন, প্রতিযোগিতার জন্য সাইন আপ করুন এবং মোবাইল ডিভাইস জেতার সুযোগ পান।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন