১ম স্থান: হাডসন ইয়ার্ডস (নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র)
ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্মাণ প্রকল্প হলো নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত হাডসন ইয়ার্ডস, যেটির মোট নির্মাণ খরচ ২০২০ সালের মধ্যে $২৫ বিলিয়নে পৌঁছায়। একটি সক্রিয় রেল ইয়ার্ডের ওপর সরাসরি নির্মাণ হওয়ায় প্রকল্পটি ছিল অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল। প্রথম ধাপের নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অফিস টাওয়ার, আবাসিক ভবন, বিনোদন কেন্দ্র এবং রিটেইল গ্যালারি। দ্বিতীয় ধাপে আরও আবাসিক এলাকা নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের ব্যাপকতা, কাঠামোগত জটিলতা এবং নির্মাণসামগ্রী ও শ্রমের মূল্যবৃদ্ধি বিবেচনায় ভবিষ্যতে খরচ আরও বাড়তে পারে।
২য় স্থান: আবরাজ আল বায়ত (মক্কা, সৌদি আরব)
২০১২ সালে সমাপ্ত মক্কার আবরাজ আল বায়ত কমপ্লেক্সের নির্মাণে সৌদি সরকার $১৫ বিলিয়ন খরচ করেছে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ হজযাত্রীর চাপ সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি এই স্থাপনাটি মক্কার শহর অবকাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর কেন্দ্রীয় আকর্ষণ ৬০১ মিটার উঁচু ক্লক টাওয়ার, যা বিশ্বের অন্যতম সুউচ্চ ভবন। এখানে রয়েছে ১,৬৫০ কক্ষবিশিষ্ট একটি হোটেল, যা গ্র্যান্ড মসজিদের দিকে মুখ করে নির্মিত। টাওয়ারের উপরের তলাগুলোতে আছে একটি মানমন্দির এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্র।
৩য় স্থান: মেরিনা বে স্যান্ডস (সিঙ্গাপুর)
সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে পরিচিত স্থাপনাগুলোর একটি হলো মেরিনা বে স্যান্ডস, যা ২০১০ সালে উদ্বোধন হয় এবং এটি নির্মাণে খরচ হয় $৫.৫ বিলিয়ন। স্থপতি মোশে সাফদির ডিজাইন করা এই কমপ্লেক্সে রয়েছে তিনটি ৫৫-তলা টাওয়ার, যা ২০০ মিটার উঁচু একটি ভাসমান পর্যবেক্ষণ ডেক স্কাইপার্ক দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখানে রয়েছে একটি বিশাল হোটেল, ক্যাসিনো, জাদুঘর, ২৭০টির বেশি দোকান ও রেস্তোরাঁ, থিয়েটার, আইস রিঙ্ক এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইনফিনিটি পুল (১৫০ মিটার দীর্ঘ)। মেরিনা বে স্যান্ডস এখন সিঙ্গাপুরের জাতীয় প্রতীক এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।
৪র্থ স্থান: সোফি স্টেডিয়াম (ইংলউড, যুক্তরাষ্ট্র)
ক্যালিফোর্নিয়ার সোফি স্টেডিয়াম যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রীড়া স্টেডিয়াম, যার নির্মাণ ব্যয় $৫ বিলিয়নের সামান্য বেশি এবং যা ২০২০ সালে শেষ হয়। ২,৮৮,০০০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই স্টেডিয়ামে ৭০,০০০ দর্শক বসতে পারেন, এবং এটি এলএ র্যামস ও চার্জার্স NFL দলের ঘরের মাঠ। প্রকৌশল দক্ষতার এক নিদর্শন হিসেবে এই স্থাপনাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছ ছাদ, খোলা পার্শ্বপ্রাচীর, এবং একটি বিশাল ওভাল ভিডিও বোর্ড—যার আকার ৬,৫০০ বর্গমিটার। এখানে কনসার্ট, প্রদর্শনী এবং অন্যান্য বড় ইভেন্টও অনুষ্ঠিত হয়।
৫ম স্থান: অ্যাপল পার্ক (কুপারটিনো, যুক্তরাষ্ট্র)
অ্যাপলের প্রধান ক্যাম্পাস, অ্যাপল পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৭ সালে নির্মিত হয় এবং এতে খরচ হয়েছে আনুমানিক $৫ বিলিয়ন। স্টিভ জবসের ধারণায় নির্মিত এই ভবনের লক্ষ্য ছিল “বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অফিস” তৈরি করা। রিং-আকৃতির ভবনটি ২,৬০,০০০ বর্গমিটার জায়গা নিয়ে গঠিত এবং এতে ১২,০০০ কর্মী কাজ করেন। টেকসই নির্মাণশৈলীর ওপর জোর দিয়ে তৈরি এই ভবনে রয়েছে সৌর প্যানেল ও প্রাকৃতিক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা। বহিরাংশে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁকানো কাচের প্যানেল, আর পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে রয়েছে ৬.৪ কিলোমিটার হাঁটার পথ এবং খরাপ্রতিরোধী গাছপালা।
-
Grand Choice
Contest by
InstaForexInstaForex always strives to help you
fulfill your biggest dreams.প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
চ্যান্সি ডিপোজিটআপনার অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করুন এবং $9000 এর অধিক নিন!
চ্যান্সি ডিপোজিট প্রচারাভিযানে আমরা মে $9000 লটারি করেছি! একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করে এই অর্থ জেতার একটি সুযোগ নিন! এই শর্ত পূরণ করে, আপনি একজন অংশগ্রহণকারী হতে পারবেন।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্রেড করুন, ডিভাইস জিতুনআপনার অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে $৫০০ টপ আপ করুন, প্রতিযোগিতার জন্য সাইন আপ করুন এবং মোবাইল ডিভাইস জেতার সুযোগ পান।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন